রাজধানীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ রবিবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ অবস্থায় ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতদিন
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আজও (রোববার) দেখা গেছে ঈদের অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। অগ্রিম টিকিট বিক্রির আজ তৃতীয় দিন। আজ সকালে টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ গত দুই দিনের তুলনায় আরো বেশি ছিল।
কমলাপুর স্টেশনের মূল প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন। লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন, তাঁদের অধিকাংশই গতকাল শনিবার থেকে অবস্থান করছেন। অপেক্ষায় থাকা অনেকে ক্লান্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে বসে পড়েছেন।
এদিকে, পেছনের দিকে থাকা অধিকাংশই মনে করছেন, তাঁরা টিকিট পাবেন না। টিকিট না পেলে কেউ কেউ চলে যাবেন, আবার কেউ আগামীকাল সোমবার যেন পান, সেই আশায় অবস্থান করবেন। সূত্র: সমকাল
আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নীতি রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘বাংলাদেশ মনে করে, দেশটির জনগণের পছন্দ অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও বহুমুখী দেশ হলে তা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু বলে মনে করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময় করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব কাজ গত ২০ বছর ধরে দেশটিতে করে আসছে।’
‘বাংলাদেশ মনে করে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং কোন দিকে তারা যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ আর দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের জন্য অবদান সৃষ্টিকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে আফগান জনগণের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।’
সেইসঙ্গে আফগানিস্তানের সব পক্ষকে শান্তি রক্ষা এবং সব বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। সূত্র : বিবিসি বাংলা