ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১, ২ চৈত্র ১৪২৭

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
Janata Bank
Rupalibank
ফলোআপ

জামালগঞ্জ ‘স্কুলে টিফিন না খেয়েও বিল দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের’


Ekushey Sangbad
 সুনামগঞ্জ  প্রতিনিধি
০৬:২৪ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
জামালগঞ্জ ‘স্কুলে টিফিন না খেয়েও বিল দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের’

অবশেষে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভ‚ষণ চক্রবর্তীর অনিয়মের বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধের সময়  শিক্ষার্থীদের না খাইয়ে টিফিনের টাকা আদায়ের সত্যতা মিলেছে।

মহামারী করোনা ভাইরাস সংকট কালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিনের (জলযোগ বলে) টাকা আদায়ের কারা হয়। বিদ্যালয়ের আদায়কৃত রশিদ দিয়ে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হলে উপজেলা জুড়ে তুলপাড় শুরু হয়। পরে স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক প্রধান শিক্ষক বিধান ভুষণ চক্রবর্তীর অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। পরে বিষটি তদন্তের দায়ীত্ব পান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মো: মাহবুবুল কবীর।

তদন্ত কর্মকর্তার রির্পোটে বলা হয়, ‘জানুয়ারী ২০২০ থেকে ডিসেম্বরে বিদ্যালয়ের রশিদ মুলে টিফিনের (জলযোগ) ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯০ টাকা আদায় করা হয়। জানুয়ারী থেকে-মার্চ পর্যন্ত জলযোগ বাবদ খরছ হয় ১ লাখ ৬ হাজার ৪২৯ টাকা। উদ্বৃত বাকী টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়’। কিন্তু করোনা কালিন সময়ে স্কুল বন্ধে কেন টিফিনের টাকা আদায় করা হলো তার সুষ্পষ্ট কারণ না দর্শিয়ে ওই টাকা  পরবর্তিতে সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করায় উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে তদন্ত রির্পোট জমা দেয়ার পর বৃহষ্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম কে আড়াল করতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারীরা অভিনব পন্থায় এক মানব বন্ধনের অযোজন করে। উল্টো হাতে গুনা ২/৩ জন কে কুচক্রী উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা জুড়ে হাস্য রসের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগে উল্লেখ জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে অপপ্রচার করা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এমন কি মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষক বিধান ভুষণ চক্রবর্তীর মোবালই ফোনে অর্থ দাবী করে বিব্রতবোধ করেছে। কিন্ত কোন মোবাইল নাম্বারে অর্থদাবী করা হয়েছে, কোন নাম্বার বা দিন ক্ষণ উল্লেখ না থাকায় এটি নিয়েও উপজেলা জুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মহামারি করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও প্রধান শিক্ষক বিধান ভ‚ষণ চক্রবর্তীর নির্দেশে বিদ্যালয়ের ফ্রি আদায়ের রশিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন (জলযোগ) খরচ বাবত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী না খেয়ে টিফিনের টাকা নেয়ার কারন জানতে চাইলে তারা কোন উত্তোর পায়নি। কি কারনে স্কুল বন্ধে টিফিনের টাকা আদায় করা হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্তা নিতে অভিযোগে উল্লেখ থাকলেও, তদন্ত রির্পোটে সমন্বয়ের কথা উল্লেখ থাকায় বিষটি নিয়ে নানান আলোচনা হচ্ছে।


একুশে সংবাদ/না/আ