সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের হাসনফন গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র সামছুদ্দিন আহমদ রমজান মিয়ার পুকুর থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মাছ লুঠপাট করা হয়৷
এঘটনায় গত ১৫/০১/২০২১ তারিখে আব্দুল বারিকের পুত্র মরম আলীকে প্রধান আসামী করে তার সহযোগী তিন জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি লুটের মামলা দায়ের করেন জি আর মামলা নং ৪১/২০২১।
মামলা দায়ের করার পর যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ প্রধান আসামী মরম আলীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারে একদিন পর মরম আলী আদালত থেকে জামিন পেয়েই মামলা বাদী নিরীহ সামছুদ্দিন আহমদ রমজানকে প্রাণে মারার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন মরম আলী ও তার সহযোগীরা ।
মরম আলীর ভাই-ভাতিজাদের হুমকি ধামকির ভয়ে রমজানের ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী জলিল মিয়া সদর থানায় আরেকটি মামলা ও দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী নিরীহ সামছুদ্দিন আহমেদ রমজান জানান, আমার শেষ সম্বল পুকুর ভরা মাছ ছিলো। এলাকার প্রভাবশালী মরম আলী'র নির্দেশ আমার প্রায় তিন লক্ষ টাকার মাছ লুঠপাট করা হয়। মাছ লুঠের পর আমি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মরম আলীকে গ্রেফতার করেন। মরম আলী জামিন পেয়েই, আমার বসত বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারার হুমকি ধামকি দেন।
কাল মামলার আরেকটি তারিখ আছে আজ ওরা আমাকে এসে বলে গেছে যদি আমি কাল সুনামগঞ্জ আদালতে যাই ওরা আমাকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবে । আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। আমরা গৃহবন্দী অবস্থায় দিন যাপন করতেছি।
একুশে সংবাদ / না.তা /এস
আপনার মতামত লিখুন :