ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১, ২ চৈত্র ১৪২৭

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
Janata Bank
Rupalibank

গোয়ালন্দে ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
০২:৪৯ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
গোয়ালন্দে ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৭৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২ টিতেই শহীদ মিনার নেই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে এখানকার শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী কোন শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। আবার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা -সমালোচনা থাকলেও এ বিষয়ে এতদিনেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। এ নিয়ে সুধিমহলে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। 

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলাতে ৫ টি কলেজের একটিতেও শহীদ মিনার নেই। ১৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ৫ টিতে। বাকি ১২ টিতে নেই।এছাড়া ৫১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৬ টিতে। বাকি ৪৫ টিতে নেই।

এ বিষয়ে স্কুল-কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা খুবই দুঃখজনক। সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ, রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজ, শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার বড় বড় বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকার পেছনে ওই সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা  কতৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মনে হয়। এখানে অর্থের সংকট থাকার কথা নয়।

গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, বেসরকারি থাকাকালীন অর্থ সংকটে শহিদ মিনার করা যায় নি। সরকারী হওয়ার পর এখন আমাদের ইচ্ছে মতো অর্থ ব্যয়ের কেন সুযোগ নেই।

গাজী সাইফুল ইসলাম বিদ্যানিকেতনে গেলে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা গাজী সাইফুল ইসলাম মুঠোফোন বলেন, শহীদ মিনারের অভাবে গতবছর আমাদের স্কুলে কলাগাছ ও বাঁশের সাহায্যে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিতে হয়েছে। সরকার যদি নির্মাণ করে দিতো তাহলে শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দিবসটি পালন করতে পারতো।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমরা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি এল জি এস পি প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী আসার আগেই উপজেলার অবশিষ্ট সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে। বিষয়টি খুবই জরুরি অনেক আগেই এটা হওয়া উচিত ছিল।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, বাজেট ঘাটতি রয়েছে যার কারণে এই মূহুর্তে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি তবে খুব দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একুশেসংবাদ/কাজল/অমৃ