৬৮ হাজার গ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ। এক কথায় গ্রাম ভিত্তিক বাংলাদেশ। প্রতিনিয়ত সেই গ্রামে ঘটছে নানা ঘটনা। তাই জনহয়রানি রোধে গ্রামের সমস্যা সহজেই গ্রামে বসে মিমাংশা করতে সরকার গঠন করেছে ‘গ্রাম আদালত’। কতগুলো পাড়া-মহল্লা নিয়েই একটি গ্রাম আদালত প্রশাসনের সৃষ্টি। গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য ‘গ্রাম আদালত’ আশীর্বাদ স্বরূপ। গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ ও ২০১৩ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ৩৬ নম্বর আদেশ দ্বারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও সংশোধন করা হয়। এর পূর্বে বিভিন্ন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গ্রাম আদালতের প্রয়োজনীয়তার ভূমিকা বৃদ্ধি পায়। গ্রাম উন্নয়নের পাশাপাশি ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিচার করার ক্ষমতাও গ্রাম আদালতকে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের মনোনীত দুই জন করে চার সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করে বিচাকার্য সম্পন্ন করতে হয়। তবে উভয়পক্ষের মনোনীত দুই জনের মধ্যে অবশ্যই একজন ইউপি সদস্য থাকতে হবে।
সারা দেশের ন্যায় বরিশালের বানারীপাড়ায়ও ‘গ্রাম আদালত’ ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে গ্রামের অনেক জটিল ও কঠিন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখছে।
বিশেষ করে জমিজমা,যৌতুক,নারী নির্যাতন ও পারিবারিক বিরোধ নিস্পত্তিতে এ আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে গ্রামের জটিল সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে জনহয়রানী রোধসহ গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা গেছে বানারীপাড়া উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নে বছরে প্রায় সহস্রাধিক ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার নিষ্পত্তি হয়। অনেক ক্ষেত্রে আদালত থেকেও অনেক মামলা বিচারকার্যের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে এলাকার জমিজমা,যৌতুক,নারী নির্যাতন ও পারিবারিক বিরোধসহ অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা হয়। অভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন উপজেলার অপর ৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিপন কুমার সাহা বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রাম আদালতের সুফল ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম আদালতকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করতে এর সঙ্গে বিভিন্ন এনজিওকে সম্পৃক্ত করা ও জনবল নিয়োগ সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
একুশে সংবাদ/ রা.সু /এস
আপনার মতামত লিখুন :