মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষিতরা লোহার মতই মজবুত হয়। যেখানে সেখানে নিজেকে ধর্য্যরে পরিচয়ও দেয়। স্বেচ্ছায় কাউকে আঘাতও করেন না। বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) রাঙ্গামাটি স্কাউট ভবন মাঠ প্রাঙ্গণে বিকাল ৪টায় আয়োজিত ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার এর শিক্ষার্থীদের কুংফু ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার এর সভাপতি আকতার হোসেন ভুট্টো’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিএম রুস্তম (তাওলু), আন্তর্জাতিক কোচ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মোঃ আলমগীর (সানদা), যুগ্ম সম্পাদক, উশু ফেডারেশন, ঢাকা, নির্মল বড়ুয়া মিলন, কোচ ও রেফরি বাংলাদেশ জুডো এশোসিয়েশন, মোঃ আব্দুল মান্নান রানা (সানদা), আন্তর্জাতিক কোচ ও খেলোয়াড়। এছাড়া অতিথি বক্তব্য রাখেন মিসেস জিমি কামাল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক রাঙামাটি।
বক্তরা বলেন, যে সব সন্তানরা মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ গ্রহন করবে তারা একদিকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে অন্যদিকে সমাজের অবহেলিতদের জন্য কাজ করতে পারবে। এখানে অভিভাবক বা কারো ভয়ের কিছু নেই মার্শাল আট প্রশিক্ষিতরা শান্তই থাকেন এবং ধর্য্যরে পরিচয় দেন তাদের সেভাবেই গড়ে তোলা হয়। নারীরা এগিয়ে এল প্রত্যেক সেক্টরে তারা নিজেকে রক্ষার পাশাপাশি অন্যকেও সাহার্য্য করতে পারবে। আজকের সমাজে মার্শাল আর্ট খুবই প্রয়োজন। যারা এর শিক্ষায় নেন তারা শাররীক ভাবেও সুস্থ থাকেন। তাদের কোন অসুখে পরাস্থ করতে পারে না। হাজার হাজার বছর আগেও রাজ্য এবং দেশ ও জনগনকে রক্ষা করতে রাজারাও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষন নিতো।
ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার এ পর্যন্ত দুইশত জন মেয়েকে মার্শাল আর্ট এর মাধ্যমে সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাঙ্গামাটিতে এর প্রশিক্ষণের জন্য কোন মাঠ পাওয়া যায় না। খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার না দিয়ে রাঙ্গামাটির জিমনেশিয়ামটি ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়। তাই মার্শাল আর্ট শিক্ষায় ইচ্ছুকদের প্রশিক্ষণ দেয়া কষ্টকর হয়। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে সহযোগীতা করলে সমাজে মার্শাল আর্ট এ প্রশিক্ষিতরা অবদান রাখবে।
একুশে সংবাদ/ প.চ /এস
আপনার মতামত লিখুন :