ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।সদর উপজেলা পরিষদের সামনে শুক্রবার সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি এম এ আজিজ। তদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ঘটে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পুলিশ তা নিশ্চিত করেনি।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা জানান, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের ভেতরে স্মার্টকার্ড বিতরণী অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসছিলেন। এর মধ্যে জুয়েল ও আজিজের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সেসময় কড়া নিরাপত্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নিজ বাড়ি উপজেলার কাইয়ূম ইউনিয়নের পানিয়ারূপ গ্রামের চলে যান। এর পরপরই দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পাঁচটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়। ভাঙা হয় সভাস্থলের চেয়ার-টেবিল ও আশপাশের কিছু দোকানের গ্লাস। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এখনও সেখানে মোতায়েন আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল।
এ বিষয়ে বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘আমি ও আজিজ আলাদা ভাবে দুটি মিছিল নিয়ে আসছিলাম। সেখানে আমাদের সমর্থকরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। তাদের মধ্যে পরে সংঘর্ষ হয়। পরে আমরা (তিনি ও আজিজ) থামানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি নাই। আমরা (তিনি ও আজিজ) সেখান থেকে চলে যাই, পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।’
এ নিয়ে জানতে যুবলীগের সহসভাপতি আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
কসবা পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে দলের মনোনয়ন পেতে সেখানে দৌড়ঝাঁপ চলছে আওয়ামী লীগ নেতাদের।
একুশে সংবাদ/ এনা.খ /এস
আপনার মতামত লিখুন :