বরিশালের উজিরপুরে কলেজ শিক্ষক নিরু রায়হানের মূত্যুর প্রায় ২ বছর পর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
৮ মার্চ সোমবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়দেব চক্রবর্তী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সামসুদ্দোহা তৌহিদেরর উপস্থিতিতে উজিরপুর মডেল থানার এস আই মিজানুর রহমান ও সিআইডি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই মিজানুরসহ একটি দল কবর থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উত্তোলন করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের গজেন্দ্র গ্রামের জোগেশ শীলের ছেলে নিরাঞ্জন শীল নিরু একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এক এনজিও’র কর্মকতা সৈয়দা শাহিনা আক্তারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে নিরাঞ্জন শীল নিরু ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে শাহিনাকে বিয়ে করেন। এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নিরু রায়হান রাখেন। এরপর থেকে নীরু’র সাথে তার পরিবারের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বাড়ির জমি নিয়ে ভাইদের সাথে একাধিক বার শালিস বৈঠক হয়। জমি বিক্রি করতে নীরু রায়হান বাড়িতে অবস্থান কালে ২০১৯ সলের ২১ এপ্রিল বিকালে তার রহস্যজনক মূত্যু হয়। নীরুর স্ত্রী শাহিনা আক্তার চট্রগ্রামে চাকুরি করার কারণে তাকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে নীরু রায়হানকে হত্যার অভিযোগে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রিট আদালতে মনোরঞ্জন শীল মনো, সুশান্ত শীল শান্ত, বিমল চন্দ্র শীল, অঞ্জন শীল, অমল চন্দ্র শীল, কনা রানী শীল, অর্পিতা রানী টুম্পা, মিথুন দীপ জয়কে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট ( সিআইডি) পুলিশের উপর দায়িত্ব দেয়। সি আইডি পুলিশ নীরু রায়হানের লাশ উত্তোলন করে হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করে।
এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান বলেন আদালতের নির্দেশে কলেজ শিক্ষক নিরু রায়হানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে সিআইডি লাশ উত্তোলন করে ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে।
একুশে সংবাদ/রাসু/আ
আপনার মতামত লিখুন :