চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার কনক কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন কামাল পাড়া রোডের “মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমী” নামে কওমি আক্বিদার একটি ইসলামী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্টানের গলি থেকে একটি নিষ্পাপ অবুঝ শিশু ছাত্রের পাঞ্জাবীর পিছনে ধরে তথাকথিত হুজুর নামের কলঙ্ক এক শিক্ষক মাদ্রাসার ভিতর নিয়ে বর্বর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে শিশুটিকে অমানষিকভাবে নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত একটি নির্মম ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তা সারাদেশব্যাপী ভাইর্যাল হয়ে পড়ে মুহুর্তেই।
সারাদেশের মানবিক মনে দাগ কাটে, হৃদয় থেকে রক্তক্ষরন হয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে মানবিক মন। সোস্যাল মিডিয়া সয়লাব হয়ে যায় অমানবিক ঐ হুজুর শিক্ষককে গ্রেফতার করে দ্রূত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনার।
৯ মার্চ’২১ ইং মঙ্গলবার সংঘঠিত নির্মম এ নির্যাতনের ভিডিওটি রাত ১২টার সময় দৃষ্টিগোচর হয় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুহুল আমিনের। ভিডিওটি দেখার সাথে সাথে গভীর রাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি।
ছাত্রটিকে নির্যাতনের ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক শিশু ছাত্র ইয়াসিনকে বাহির থেকে ধরে এনে শ্রেণিকক্ষে ঢুকিয়ে অমানবিকভাবে পেটাচ্ছেন। ভিডিওটি মুহূর্তে সোস্যালমিডিয়ার মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কাকতালীয়ভাবে আহত শিশু ইয়াসিনেরে এদিন ছিল জন্মদিন।
এ বিষয়টি জানার পর জন্মদিনের উপহারসহ শিশু ইয়াসিনের বাসায় ছুটে যান মানবদরদী মানবিক মানুষ হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “৮ বছরের ইয়াসিনের গতকাল জন্ম দিন ছিল। আজ সকালে জানার পরে খেলনা উপহার নিয়ে গেলাম বাসায়। জিজ্ঞাস করলাম, ‘খেলনা পছন্দ হয়েছে?’ছেলেটির ঝটপট উত্তর- খেলনা পছন্দ হয়েছে আরও দুইটা জিনিস আমার ভালো পছন্দ। আমি জিজ্ঞাস করলাম কী কী? গুল্লি(খেলনা বন্দুক) এবং নিমোট (রিমোট) গাড়ি।
আচ্ছা রাতে কিনে নিয়া আসব? তাহলে দুইটা করে আনবেন। দুইটা করে কেন?
আমার ছোট ভাইয়ের জন্যও আনবেন। আচ্ছা “ ইউএনও আরো লিখেন, ছেলেটার শরীরের ব্যাথা নয় মনের ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করছি, শরীরের ব্যাথা হয়তো নাপা খেলেই সেরে যাবে। ইয়াসিন দ্রুত ভুলে যাক এই জন্মদিনের স্মৃতি।”
গতকাল শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন উলামায়ে কেরাম, লেখক, সুশীল সমাজ ও সাধারন জনগন।
সাধারন মহলে জোর দাবী উঠে, অনতিবিলম্বে শিশুছাত্র ইয়াছিনকে অমানষিক নির্যাতন করা এ শিক্ষককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি এ ধরনের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্টানেও প্রশাসনিক নজরদারী জোরদার করা।, যদিও শিশুটির বাবা ইউএনও সাহেবকে শিক্ষকের বিরোদ্ধে মামলা না করার কথা জানালে ইউএনও রুহুল আমিন সতর্ক ও তিরস্কার করে ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ/ ই.রা / এস
আপনার মতামত লিখুন :