আজ ১২ মার্চ ২০২১ইং শুক্রবার সকাল ১০:৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের উদ্যোগে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীকে এই অসহনীয় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, “বর্তমানে রাজধানীতে মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই এখন মশার আক্রমণ। এ যেন মানুষের নয় মশার রাজধানী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। ওষুধ পুরো কার্যকর হচ্ছে না। এছাড়া নগরীর খাল, নালা পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার প্রজনন স্থল। মশার প্রকোপ এত বেশি যে মশারি, কয়েল আর স্প্রেও কোনো কাজে আসছে না। বিভিন্ন গবেষণা উঠে এসেছে রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতি বছর ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া,ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মশা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়ার কোন কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”
তিনি আরো বলেন, “ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করেপারেশন আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিলে নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। বিভিন্ন এলাকার মশককর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার ফল এখন মানুষ ভোগ করছে। তারা সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ অনুযায়ী বাসাবাড়ির আঙিনা, জলাশয়, ডোবা,ও ড্রেনে ওষুধ ছিটালে মশার বিস্তার ঘটতো না। বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে আনা যেতো। এছাড়া মশা যেহেতু জলাশয়ে বেশি বংশবিস্তার করে সেক্ষেত্রে সেখানে কীটনাশক স্প্রে করে মশার লার্ভা নষ্ট করে, তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব।”
মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের ডোবা, জলাশয় পানি প্রবাহ চলমান করে দিতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে মশকর্কর্মীদের ট্রেনিং দিতে হবে। রাজধানীর ড্রেনগুলো ঢাকনা খুলে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বিল্ডিংয়ের ছাদ এবং বেজমেন্ট সহ বিভিন্ন স্থানে অপরিচ্ছন্ন, নোংরা ও পানি জমে থাকে। এসব স্থানে মশা বংশবিস্তার করে। তাই এসব বিল্ডিংকে নজরদারির আওতায় এনে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজধানীর বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের অভিভাবক হিসবে আপনাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আপনারা স্ব-উদ্যোগে আপনাদের বাড়ির আশ-পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং মশক নিধন কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এতে করে ভাড়াটিয়াদের সাথে সাথে আপনাদের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।”
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন ভাড়াটিয়া পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জামাল শিকদার, শাহজাহান সিরাজ, আজম মোল্লা, মোস্তফা কামাল, মোছাঃ লাভলী, শামীম আহমেদ, অন্তর রহমান, তুহিন চৌধুরী, গোলাম ফারুক মজনু, মোঃ আলমগীর, মেনন চৌধুরী প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/র.রা/আ
আপনার মতামত লিখুন :