পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তিন কৃষকের ৫ বিঘা জমির বোরো ধান বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ তিন কৃষক বাদি হয়ে বানিয়াগাতি গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ও তার ছেলে নাঈম হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক ৩টি অভিযোগ দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে ধুনট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তাহের সরেজমিনে বলারবাড়ি দুবলার দিয়াড় মাঠে ক্ষতিগ্রস্থ ধান ক্ষেত পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিড়ানি দেওয়া পরিষ্কার-চকচকে জমি, চারদিকে সবুজ আর সবুজ। মাঝখানে তিন কৃষকের পুড়ে যাওয়া বিবর্ণ ধান ক্ষেত। এর মধ্যে উপজেলার বলারবাড়ি গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে মিন্টু সেখের ৩ বিঘা, শুকুর আলীর ছেলে আব্দুস ছালামের ২৮ শতক ও একই এলাকার খাটিয়ামারি গ্রামের জবদুল মন্ডলের ছেলে নাসির উদ্দিনের ৩৬ শতক জমির উঠতি বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বলারবাড়ি দুবলার দিয়াড় মাঠে বোর ধান চাষ করেছে ওই তিন কৃষক। ক্ষেতের ধান গাছ বাড়তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত তাদের এই ক্ষেতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০হাজার টাকা, যার বেশির ভাগ তারা ধারদেনা করে জোগাড় করেছেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে তিন কৃষক ক্ষেত পরিচর্যা করতে গিয়ে দেখেন ধান গাছ পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি ওই জমির অংশিদার। ওই জমি নিয়ে তাদের সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। তবে বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে জমির ধান পুড়ে দেওয়ার ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। তারা আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
ধুনট উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করায় ক্ষেতের ধান গাছ পুড়ে গেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ই.হ/আ
আপনার মতামত লিখুন :