ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ, তার অবদান - তার আদর্শ জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। আগামী দিনের সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণের শক্তিশাালী হাতিয়ার হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাদের হৃদয়ে ধারণ করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা আয়োজিত শতবর্ষে শত অনুষ্ঠান সংক্রান্ত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং নেত্রকোণার ডেপুটি কমিশনার কাজি আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও হাবিবা রহমান খান, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অধ্যাপক যতীন সরকার এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. রফিক উল্লাহ প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা আত্মত্যাগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন করতে হবে, তাকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সু-সম্পাদিত প্রকাশনা বড় সম্পদ হতে পারে। চিরন্তন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ একটি সংকলন প্রকাশের উদ্যোগকে মন্ত্রী অত্যন্ত মহৎ কাজ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশনাসমূহ ভাল সম্পাদনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ষাটের দশকে ঢাকার রাজপথে ছাত্রলীগের লড়াকু সৈনিক জনাব মোস্তাফা জব্বার নেত্রকোণায় ছয়বার বঙ্গবন্ধুর আগমন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, নেত্রকোণার মানুষের জীবনধারা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে এখানকার মানুষের কাজ করার প্রবণতা বঙ্গবন্ধুকে আকৃষ্ট করেছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেত্রকোণার মানুষের কাছে একজন মহামানব। মন্ত্রী গত ১২ বছরে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে রূপান্তর ঘটেছে তা সারা দুনিয়ার কাছে এক বিস্ময়, এটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সুখী সমৃদ্ধ ও বৈষম্য হীন বাংলাদেশ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় তিনি ২০৪১, ২০৭১ এবং ২১০০ সালের ভিশন নিয়ে কাজ করছেন।
বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে “শতবর্ষে শত অনুষ্ঠান” উক্ত শিরোনামে ১০০ দিনের ১০০ টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রমী ও অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন।#
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :