রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে করোনার অনুদানের ১০ হাজার টাকার খবরে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদনের হিড়িক।
পৌর এলাকায় ও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়নপত্র তুলে আবেদন করতে ভিড় করেছেন অনলাইনের দোকানগুলোতে।
রবিবার (১৪মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইনের দোকানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ছিল উপচে পড়া ভিড় ছিল।
জানা গেছে, করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সরকার শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়া হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়নপত্র তুলতে ভিড় করেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকরা টাকা দেওয়ার বিষয়টি অবগত নয় জানালেও শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ।
বাধ্য হয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের প্রত্যায়নপত্র দেন। প্রত্যায়নপত্র তুলে আবেদন করতে শহরের বিভিন্ন অনলাইনের দোকানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভিড় জমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের টাকা বিতরণের উদ্যোগ নেয় সরকার। পরে গত ১৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এ টাকা পেতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছিল।
অনলাইনে আবেদনের সময় ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরে সে সময় বাড়ানো হয় ৭ মার্চ পর্যন্ত। এরপর আবারও সময় বাড়ানো হয়েছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। সরকারি এবং বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা, দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অসচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।
আফজি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌমিতা খাতুন বলেন, ‘দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনলাইনের দোকানে বসে থেকে আবেদন করতে পারিনি। আমাদের বান্ধরীরা আবেদন করেছে। শুনেছি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
’গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সহপাঠীদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আবেদন করতে এসেছি। কলেজ থেকে প্রত্যায়নপত্র তুলেছি। পরে অনলাইনের দোকানে গিয়ে আবেদন করেছি।
সুলতানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অবগত করেছি, এটি করোনার অনুদান নয়। তারপরও প্রত্যয়ন দিতে হয়েছে।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সবাই এ অনুদান পাবেন না।
গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যায়নপত্র তুলতে ভিড় করে। এক পর্যায়ে তাদের প্রত্যায়ন দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় পাচঁ শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনও চিঠি পাইনি।তবে বিষয় আমার জানা নেই।শিক্ষা মন্ত্রণালয় উচ্চ মাধ্যমিক ওয়েবসাইট www.shed.gov.bd থেকে জানাযায় যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেষ সময় ছিল। পরে ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। পরবর্তীতের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ মু.হ / এস
আপনার মতামত লিখুন :